সদ্য ঘোষিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খান শান্তকে মানিকগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মইনুল ইসলাম খান শান্তকে সদ্য ঘোষিত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলীয় পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মইনুল ইসলাম খান শান্তর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয়, পদ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খান শান্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে মনোনীত করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে দলের জরুরি যৌথ সভায়।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ কবীর জিন্নার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাতেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক তোজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস খান মজলিশ মাখন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন, বিএনপি নেতা কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু, সিংগাইর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান রোমান, ঘিওর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খোন্দকার লিয়াকত হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শরিফ ফেরদৌস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রিন্স, শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল কাদের প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় বলা হয়েছে, মইনুল ইসলাম খান শান্তকে ২০১৩ সালে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক করা হলেও এই তিন বছরে দলীয় কর্মকাণ্ডে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বহুল বিতর্কিত মইনুল ইসলাম খান শান্তর ষড়যন্ত্র থেকে জেলা বিএনপিকে রক্ষা করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।